BPSC সিলেবাস পর্যালোচনা ( বাংলা)

পূর্ণমান-৪০
(ক) রচনাঃ
লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসের বাংলা অংশের প্রথমেই রয়েছে রচনা লিখন। যার মান ১৫ মার্ক। অনেকেই ইতোমধ্যে রচনা পড়তে শুরু করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি বলবো রচনা পড়া বাদ দিন, রচনার টপিক পড়ুন। যেমন ধরুন রচনা আসলো "নারী শিক্ষার গুরত্ব" এখন আপনি কি লিখবেন? গল্পের মতো করে লিখে গেলে আপনি কখনই ভাল মার্ক পাবেননা। এজন্য আপনাকে অনেকগুলি টপিক তুলে আনতে হবে। প্রতিটা টপিকের উপর আলোচনা করবেন আর একটা একটা করে প্যারা বানাতে হবে। টপিক বলতে যেমন ধরুন..... নিচের টপিকগুলো দেখুন উদাহরণস্বরূপ:
ভূমিকা, 

নারী শিক্ষা কেন প্রয়োজন:

বর্তমানে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার অবস্থা:

নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য পরিবারের কর্তব্য:

নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে সরকারের করণীয়:

দেশ উন্নয়ণে নারী শিক্ষার গুরত্ব:

উন্নত  দেশ সমূহে শিক্ষিত নারীদের ভূমিকা:
এভাবে একে একে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বা ১৭ টি টপিকের উপর পুরো রচনাটা লিখবেন এবং সর্বশেষ উপসংহার দিয়ে শেষ করবেন।

একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন... আপনি যদি এভাবে ১০+ টপিকের উপর রচনা না লিখেন তবে আপনি কখনই ১৫ মার্কের মধ্যে ১২ - ১৩ মার্ক পাবেননা। 

আরেকটা বিষয় হলো আপনি রচনা লিখার সময় আগে চিন্তা করে নেবেন, যে কয়টা রচনা পরীক্ষায় এসেছে তার মধ্যে কোনটির উপর লিখলে খুব ভালোভাবে পয়েন্ট আকারে সাজাতে পারবেন এবং পয়েন্টগুলোকে গুরত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাজাতে পারবেন।
যেমন ধরুন রচনা আসলো নারী শিক্ষার গুরত্ব, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার। এখন আপনি কোনটার উপর লিখবেন?? আগে ভাবুন কোনটাকে সুন্দর করে সাজাতে পারবেন।

আরেকটা কথা না বললেই নয়...... রচনা লিখতে গিয়ে সময় শেষ করে ফেলবেননা, পরীক্ষায় যাবার আগেই ভেবে রাখুন আপনি রচনার পিছে কত মিনিট সময় ব্যায় করবেন। তার বেশি খরচ করবেননা। 

(খ) সারাংশ বা সারমর্ম লিখনঃ
সারাংশ এবং সারমর্ম দুইটাই থাকবে পরীক্ষায়। এজন্য আপনি যেকোনো একটাকে বেছে নিবেন। কোনোটা মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই। ক্লাস নাইন টেনের বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রাকটিস করতে পারেন। প্রতিদিন ৫/৬ টা করে রিডিং পরবেন, তাহলেই দেখবেন ১ সপ্তাহ পড়ে নিজেই সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। একটা কথা না বল্লেই নয়, আপনি যদি হুবহু বইয়ের মতো করে লিখেন অথবা নিজের মতো করে গুছিয়ে লেখেন উভয় ক্ষেত্রেই একই মার্ক পাবেন। অতবএ মুখস্ত করতে গিয়ে অতিরিক্ত সময় নষ্ট না করার জন্য বলা যাচ্ছে।

(গ) পত্র লিখনঃ
পত্রলিখনের জন্য ব্যাক্তিগত পত্র এবং আবেদন পত্র লিখার নিয়মটা আয়ত্ত্ব করবেন। তাহলেই যথেষ্ট। হুবহু মুখস্ত করার দরকার নেই। তাছাড়া কেউ চাইলে সংবাদপত্রে প্রতিবেন প্রকাশের আবেদনটা দেখতে পারেন।

(ঘ) বঙ্গানুবাদঃ
বঙ্গানুবাদে যদি সঠিকভাবে অনুবাদ করতে পারেন তবে ফুল মার্ক পাবেন। যারা মোটামুটি ভালো/ বেশি word meaning জানেন তাদের জন্য অনুবাদে ভালো করা অনেক সহজ। অন্যদের জন্য উপদেশ হলো বিগত সালের নন ক্যাডার পরীক্ষায় আসা বঙ্গানুবাদগুলো প্র্যাক্টিস  করবেন। কেননা বিগত সালের প্রশ্ন থেকেই হুবহু কমন আসবে।

(ঙ) ব্যাকরণঃ
এই অংশটিই মূল বিষয় যেটার উপর ভালোভাবে study করার প্রয়োজন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোন কোন প্রশ্নগুলি গুরত্বপূর্ণ। বাছাইকৃত ৬০ থেকে ৭০ টি প্রশ্ন পড়লেই শতভাগ কমন পাবেন বিগত সালের নন ক্যাডারের বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

 সাজেশন্সঃ
আমরা নিয়মিত যে পরীক্ষাগুলো নেব তার পূর্বে বাছাইকৃত প্রশ্নসমূহের দ্বারা pdf তৈরি করে সকলকে দেয়া হবে। একই সাথে এই website এও দেয়া হবে।
সর্বশেষ সবচাইতে গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নগুরির সাজেশন্স দেয়া হবে।


আগামীকাল থাকবে Nursing Department এর কোন কোন অংশ পড়বেন এবং কিকি বাদ দেয়া জরুরী ..... ধন্যবাদ।